
প্রকাশিত: Sat, Apr 8, 2023 2:58 PM আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 11:09 PM
ষাটের দশকে মহাকবিতার কবি হিসাবে পরিচিত কবি পবিত্র মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস
আশিক নূরী : [১] পবিত্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন বিগত শতকের ষাটের দশকে মহাকবিতার কবি হিসাবে পরিচিত কৃতি বাঙালি কবি। এছাড়াও তিনি কবিপত্র নামক কবিতা বিষয়ক পত্রিকার সম্পাদক। [২] পবিত্র মুখোপাধ্যায় ১২ ডিসেম্বর ১৯৪০ সালে বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রোহিনী কান্ত মুখোপাধ্যায় এবং মাতা যোগমায়া দেবী। পবিত্র নিজের প্রচেষ্টায় প্রথমে ভবানীপুর সাউথ সাবার্বাণ স্কুল ও পরে শ্যামাপ্রসাদ সান্ধ্য কলেজে পড়াশুনা করে স্নাতক হন। পরবর্তী সময়ে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
[৩] পবিত্র মুখোপাধ্যায় এক বীমা কোম্পানির চতুর্থশ্রেণির কর্মচারী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। এছাড়ও তিনি চেতলা বয়েজ স্কুলে শিক্ষকতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিদ্যানগর কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন। [৪] পবিত্র মুখোপাধ্যায় ১৯৫৭ সালে সাহিত্য পিপাসু কবিবন্ধুদের সহায়তায় প্রকাশ করেন ‘কবিপত্র’ নামে কবিতা বিষয়ক পত্রিকা। দীর্ঘ ৬২ বছর যাবৎ তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে ওই কবিপত্রের সম্পাদনা করেছেন।
তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘দর্পণে অনেক মুখ’ বহুবার পুরস্কৃত হয়েছে। এছাড়ও তিনি ২০০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। কবি পবিত্র মুখোপাধ্যায় সাতটি দীর্ঘ কবিতা ও একটি আধুনিক মহাকাব্য রচনা করে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছেন। [৫] পবিত্র মুখোপাধ্যায়ের প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ‘শবযাত্রা (১৯৬১)’, ‘হেমন্তের সনেট (১৯৬১)’, ‘আগুনের বাসিন্দা (১৯৬৭)’, ‘ইবলিশের আত্মদর্শন (১৯৬৯)’, ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৭৬)’ ও ‘দ্রোহহীন আমার দিনগুলি (১৯৮২)’ প্রভৃতি। ষাটের দশকের এই কবি দীর্ঘদিন হৃদরোগে আকান্ত হয়ে ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল কলকাতায় মারা যান।
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
